মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬

নজরুল সাহিত্য দর্শন | আলোচনা

রেজাউদ্দিন স্টালিন |

নজরুলের কবি-মানস নির্ণয়ের প্রচেষ্টা আজ আর বিরল নয়। তার কবিতার প্রকৃত সত্তা ও অন্তর্গত আবহাওয়ার পূর্বাভাস নজরুলের জীবদ্দশাতেই কেউ কেউ পেয়েছিলেন। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের অধ্যাত্ম-প্রেমের আরাধনায় ছেদ পড়ল, তিনি চমকে তাকালেন নতুন বাণীবাহকের দিকে_ এ বাণীবাহক নতুন যুগের অপ্রতিরোধ্য অনীক, স্বাধীনতার অমর যোদ্ধা, অর্জুন। নজরুল তার বীরপ্রসূ মসিকে চালনা করেছিলেন যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে শান্তি অধিকারের জন্য। নজরুলের যুদ্ধের প্রকৃত স্বরূপ, উদ্দেশ্য ও কৌশল সম্পর্কে শাহাবুদ্দীন আহমদ তার 'নজরুল সাহিত্য-দর্শন' গ্রন্থে মোট আটটি প্রবন্ধ পুনর্বাসিত করেছেন। গ্রন্থের প্রথম প্রবন্ধ 'যুদ্ধ-কবিতা ও নজরুল ইসলাম'। প্রবন্ধটিতে তিনি নজরুলের যুদ্ধকে বিভিন্ন মাত্রায় বিভাজন করে দেখিয়েছেন যে, একজন কবিকে কত বিচিত্র পথে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। প্রথমত গোঁড়া ধর্মান্ধ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, পূতিগন্ধময়, আবিল মানসচৈতন্যের বিরুদ্ধে; দ্বিতীয়ত সাম্প্রদায়িক স্বার্থান্ধ সমাজের বিরুদ্ধে; তৃতীয়ত ব্রিটিশ দুঃশাসন ও পরাধীনতার বিরুদ্ধে। নজরুল একই সঙ্গে অনিবারভাবে সুর ও বাণীর রণকৌশলে বিনাশ করতে শুরু করেছিলেন বৈরী ব্যবস্থাকে। কে তাকে স্তব্ধ করতে পারে? শাহাবুদ্দীন আহমদ প্রকৃতই বলেছেন, হিংসাকে অহিংসা দিয়ে প্রতিরোধ করা অসম্ভব কেননা 'অহিংসার নীতি যেখানে আত্মধ্বংসের নীতি, অস্তিত্ব বিনাশের আদর্শ, সেখানে হিংসার আদর্শই মহান আদর্শ_ কারণ এ হিংসা প্রকৃতপক্ষে জানোয়ারের মতো মানুষকে মারার হিংসা প্রতিশোধের মারণমন্ত্র। শান্তি ও স্বাধীনতার জন্যই এ হিংসার প্রয়োজন।' মনে পড়ে নেলসন ম্যান্ডেলা যখন শ্বেতাঙ্গ প্রিটোরিয়া সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন_ তখন তিনি তার নিজস্ব সমাজের হাজার বছরের যুদ্ধের যে কৌশল তা দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন_ বন্যপশুর বিরুদ্ধে খালি হাতে নয় লড়তে হবে ধারালো বল্লম নিয়ে।

নজরুল বৈরী স্রোতে সাঁতার কাটতে গিয়ে যে শক্তির ব্যবহার অনিবার্য করে তুলেছিলেন তার পরিচয় আছে তার শিল্প-সৃষ্টিতে। নজরুলের রচনা কখনই শিল্পহীন ছিল না, কারণ যে বিজয়ী তার কৌশল পরাজিতের চেয়ে শ্রেয় এবং শ্রেষ্ঠ। নজরুল ছিলেন বিজয়ী, তার আগমনের জন্য রবীন্দ্রনাথ যেন অপেক্ষায় ছিলেন_ নজরুলের রুদ্র আগমনে দুই যোদ্ধার দ্বিমুখী আক্রমণ আরো শানিত হলো এবং শত্রুরা ছত্রভঙ্গের মতো পালাতে থাকল যার নেতৃত্ব দিলেন তরুণ কবি সৈনিক নজরুল। লেখক শাহাবুদ্দীন আহমদ নজরুলের মানসপ্রবাহের প্রকৃত দিক নিয়ে যথার্থ আলোচনা করেছেন। 'জাতির জীবনে যখন অন্ধকার ঘনীভূত, অত্যাচারের পেষণে যখন শ্বাসরুদ্ধ তখন এই প্রেমের বাণী কাপুরুষতা ভিন্ন আর কী হতে পারে।' এ রকম আলোচনার সন্ধান পাই ড. রফিকুল ইসলামের নজরুল জীবন ও সাহিত্য গ্রন্থে। লেখক তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নজরুলের চমৎকার একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়েছেন_


ধর্মকথা প্রেমের বাণী জানি মহান উচ্চ খুব

কিন্তু সাপের দাঁত না ভেঙে মন্ত্র ঝাড়ে যে বেকুব
"ব্যাঘ্র সাহেব, হিংসে ছাড় পড়বে এসে বেদান্ত!"
কয় যদি ছাগ, লাফ দিয়ে বাঘ অমনি হবে কৃতান্ত
থাকতে বাঘের দন্ত নখ
বিফল ভাই ঐ প্রেম-সবক!
নজরুল উপরোক্ত কবিতায় স্থূল ব্যক্তি-প্রেমকে নির্দেশ করেছেন_ যেখানে জাতিপ্রেম, দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম বিপন্ন সেখানে ভ- রাজনীতিক ও সমাজবেত্তাদের ব্যক্তিপ্রেমকে তিনি ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেছেন। যারা বীর, যারা দেশ ও জাতিকে ভালোবাসে তাদের মুক্তকণ্ঠে আহ্বান করেছেন। নজরুল সমকালকে গুরুত্ব দিয়েছেন, তথাকথিত নন্দনতত্ত্বের পলায়নবাদী তত্ত্বে নিজেকে ডুবিয়ে দেননি। অৎঃ ভড়ৎ অৎঃ ংধশব-এ তত্ত্বের ঘোর বিরোধী নজরুল।
শাহাবুদ্দীন আহমদ গ্রন্থের 'যুদ্ধ শান্তি ও নজরুল ইসলাম' শিরোনামের দ্বিতীয় প্রবন্ধে নজরুলের যুদ্ধ, তার ব্যক্তিসত্তা এবং আকাঙ্ক্ষাকে বিচার করেছেন। উপমহাদেশের স্বাধীনতা যখন ভূলুণ্ঠিত, অপমানে গ্লানিতে ঘৃণায় জাতি যখন নিমজ্জিত তখন 'শান্তির ললিত বাণী শোনাইবে ব্যর্থ পরিহাস'। যারা শান্তিকামী মানুষ তাদের মাথার ওপরে ইংরেজ-শ্বেত শয়তান আর এ দেশেরই পদলেহী দালালরা অশান্তি ও রক্তের প্লাবন নামিয়ে দিয়েছে। নজরুল ছিলেন প্রকৃত অর্থে একজন শান্তিকামী, ন্যায়ের পক্ষ অবলম্বনকারী উচ্চকণ্ঠ মানুষ। 'অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা তারে যেনো তৃণ সম দহে' রবীন্দ্রনাথের এ বাণীর প্রকৃত রূপায়ণ ঘটেছে নজরুল ইসলামের কবিসত্তায়_ জাগো অনশন বন্দী ওঠ রে যত, জগতের লাঞ্ছিত ভাগ্যহত জাগো_ এই আন্তর্জাতিক মানবপ্রেমে আকণ্ঠ নিমজ্জিত নজরুল।
শাহাবুদ্দীন আহমদ প্রবন্ধের এক জায়গায় বলেছেন,
'অতএব এই যুদ্ধ যে প্রকৃতপক্ষে মানুষের মধ্যে সংরচিত ব্যবধানকে, মানুষের প্রতি মানুষের হীন আচরণকে, মানুষের দ্বারা মানুষের শোষণ ও বঞ্চনাকে উৎখাত করার যুদ্ধ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।'
প্রাবন্ধিক আত্মিক শক্তিকে প্রাধান্য দিয়েছেন অর্থাৎ প্রচ- রক্তপাতে যা লাভ করা অসম্ভব আত্মিক শক্তি দিয়ে তা অর্জন সম্ভব। যেখানে আত্মা মৃত শুভ, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা নিদ্রিত সেখানে রুদ্রের আগমন ঘটে আর নজরুল লিখতে বাধ্য হন_
নিদ্রিত শিবে লাথি মার মাগো
ভাঙ মা ভোলার ভাঙ নেশা।
প্রাবন্ধিক রুদ্র অর্থাৎ পৌরাণিক মিথ্ চরিত্রের শিবকে বুঝিয়েছেন। রুদ্র নিষ্ক্রিয় হলে অসত্য-নৃত্যারম্ভ করে আর পিশাচ ও প্রেতিনীদের রাজ্য গড়ে ওঠে। শাহাবুদ্দীন আহমদ নজরুল-সাহিত্যের অসাম্প্রদায়িক দিকটিকেও যথাযোগ্য মর্যাদায় তুলে এনেছেন। বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কোরআন, গীতা, রামায়ণ এবং মহাভারতের সাহায্য নিয়েছেন। নজরুল যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অসাম্প্রদায়িক কবি-ব্যক্তিত্ব শাহাবুদ্দীন আহমদ তা বিচিত্র উদাহরণযোগে স্পষ্ট করে দিয়েছেন। গ্রন্থের 'স্বাধীনতা ও নজরুল ইসলাম' নামক তৃতীয় প্রবন্ধে নজরুলের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার উৎস, তার বহিঃপ্রকাশ ও কবিতার স্বাধীনতার বাণীর রূপায়ণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্রখ্যাত রাজনীতিক মুজফ্ফর আহমদের সঙ্গে গ্রন্থকার একমত যে ভারতবর্ষে বাঙালিদের মধ্যে প্রথম স্বাধীনতার কথা পরিপূর্ণভাবে উচ্চারণ করেন কবি নজরুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় ব্যক্তি উর্দু কবি হসরত মোহানি। হসরত মোহানি ১৯২১ সালের প্রথম সপ্তাহে কংগ্রেসের আহমদাবাদ অধিবেশনে উর্দু ভাষায় ভারতের পরিপূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। আলোচ্য গ্রন্থে 'সর্বহারার কবি নজরুল ইসলাম', 'সাম্যবাদ ও নজরুল ইসলাম', 'সমালোচক নজরুল', 'প্রাবন্ধিক নজরুল', 'কুহেলিকা', 'তৃপ্তি-অতৃপ্তি' ইত্যাদি আরো মূল্যবান প্রবন্ধ রয়েছে। 'সাম্যবাদ ও নজরুল ইসলাম' প্রবন্ধটিতে শাহাবুদ্দীন আহমদ মার্কসীয় সাম্যবাদের সঙ্গে নজরুলের সাম্যবাদের পার্থক্য নির্ণয় করেছেন। কোথাও কোথাও মার্কসীয় সাম্যতন্ত্রের সঙ্গে নজরুলের রচিত সাম্যতন্ত্রের প্রবল সাযুজ্য, যা নজরুল ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আহরণ করেছেন। বরং নজরুল ছিলেন আস্তিক সাম্যবাদী, এখানেই নিরীশ্বরবাদী মার্কসীয় সাম্যবাদের সঙ্গে নজরুলের অমিল। নজরুল মূলত শোষক শ্রেণির বিলোপ সাধন কামনা করেছিলেন এবং শ্রমজীবী সর্বহারাদের বিজয়কে প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
'কুলি মজুর' কবিতায় নজরুলের অমোঘ উচ্চারণ শ্রেণিহীন শোষণমুক্ত সাম্যবাদের কথা মনে করিয়ে দেয়_
আসিতেছে শুভদিন,
দিনে দিনে বহু বাড়িয়েছে দেনা শুধিতে হইবে ঋণ।
হাতুড়ি শাবল গাইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়
পাহাড় কাটা সে পথের দু'পাশে পড়িয়া যাদের হাড়
তারাই মানুষ তারাই দেবতা গাহি তাহাদেরই গান
তাদেরই ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নবউত্থান
নজরুল জানতেন যে, রাজনীতিবিবর্জিত সাহিত্য অন্তসারশূন্য, জীবনহীন। শাহাবুদ্দীন আহমদ মাও সে তুংয়ের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে নজরুলের রাজনৈতিক সচেতনসমৃদ্ধ কাব্য-ভাষাকে মূল্যায়ন করেছেন এবং বিবর্তনের ধারায় মানব সমাজে সাহিত্যের যে ধারা প্রতিনিধিত্ব করেছে, টিকে আছে তা সমকালের প্রকৃত অর্থে সামাজিক ও রাজনৈতিক বক্তব্য ধারণ করেই।
'সমালোচক-নজরুল' প্রবন্ধে শাহাবুদ্দীন আহমদ নজরুলের আত্মসমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলেছেন। নিজের সম্পর্কে এবং তার সমসাময়িক কবিদের সম্পর্কে নজরুল ছিলেন প্রবলভাবে সচেতন। তিনি ইবরাহীম খাঁ এবং কবি আবদুল কাদিরকে লেখা বিভিন্ন চিঠিতে তার শিল্পধারণা, আত্মসমালোচনা সর্বোপরি নিজের কবিতা সম্পর্কে নিজস্ব মতামত লিখে জানিয়েছেন যা যথার্থ এবং কালের বিচারে স্থায়ী আসন পেয়েছে। শাহাবুদ্দীন আহমদ 'প্রাবন্ধিক নজরুল' শিরোনামের লেখায় বলেছেন, 'নজরুলের অধিকাংশ প্রবন্ধ বিশেষ কালাশ্রয়ী চিন্তার স্মারক। অধিকাংশ প্রবন্ধ লিখিত নিছক প্রবন্ধের জন্য নয়, সম্পাদকীয় অথবা অভিভাষণ লেখার জন্য। কিন্তু সেই রচনাসমূহই ভাষা, ভাব ও বিষয়বস্তুর জন্য শেষ পর্যন্ত প্রবন্ধ হয়েছে।' প্রাবন্ধিকের উপরোক্ত মন্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে বলা যায়, নজরুলের প্রবন্ধ ছিল প্রাণাবেগসম্পন্ন, প্রয়োজনের উচ্চ- অগি্নগর্ভ বাণী, নিষ্ক্রিয় ভাষার নদীতে জোয়ারের মতো। এখানে নজরুলের কবিতার প্রাণাবেগের সঙ্গে প্রবন্ধের প্রাণাবেগের ঐক্য আছে। তাই বলে শুধু ভাবের বা আবেগের স্রোতে নজরুল গা ভাসিয়ে দেননি বরং যুক্তি, তথ্য ও তত্ত্বের নিষ্প্রাণ হৃদয়ে আবেগ দিয়ে তাকে বেগবান করেছিলেন। 'আমি সৈনিক', 'দুর্দিনের যাত্রী', 'যুগবাণী' প্রভৃতি প্রবন্ধে তার স্বাক্ষর মেলে। শাহাবুদ্দীন আহমদ 'নজরুল সাহিত্য দর্শন' গ্রন্থে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে নজরুল সাহিত্য দর্শনের পথগুলোর দিকনির্দেশ করেছেন। নজরুল-প্রেমিক শাহাবুদ্দীন আহমদ নজরুলকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে কোথাও কোথাও যে উচ্ছ্বাসের পরিচয় দিয়েছেন তা যুক্তিহীন নয়। নজরুলের বিশাল সাহিত্য-পৃথিবীতে একবার যিনি পূর্ণস্নান করেছেন তার পক্ষে নিরাবেগ ও স্পন্দনহীন হওয়া অসম্ভব। নজরুলের সমকালে এবং তার পরেও অনেক প্রতিভা নজরুলের অগি্নগর্ভে আত্মত্যাগ করে ধন্য হয়েছেন_ বোধ করি শাহাবুদ্দীন আহমদ তাদের অন্যতম।
শাহাবুদ্দীন আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু জীবদ্দশায় তাকে দেখেছি নজরুল-অন্তপ্রাণ এক আবেগদীপ্ত মানুষ। নজরুল আদর্শের এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার 'শব্দ ধানুকী' গ্রন্থটিও নজরুলের শব্দ এবং শব্দের শক্তিকে আবিষ্কারের বড় উদাহরণ। 'শব্দব্রহ্ম' এ অমোঘ বাণী যেন নজরুলের কবিতায় সত্যরূপে ধরা দেয়। শাহাবুদ্দীন আহমদ একবার গল্প করেছিলেন_ নজরুলের 'বিদ্রোহী' কবিতার ওজস্বিতা বোঝাতে তিনি বাঘের ছাল গায়ে জড়িয়ে মঞ্চে লাফিয়ে পড়ে কবিতাটি আবৃত্তি করতেন। তাতে দর্শকরা মুহুর্মুহু করতালিতে ফেটে পড়ত। এ থেকেই বোঝা যায় শাহাবুদ্দীন আহমদ নজরুলের দর্শন এবং তার বীররসসমৃদ্ধ বিদ্রোহী কবিতার প্রতি কতটা অনুরক্ত ছিলেন। আলোচ্য প্রবন্ধগ্রন্থে সে অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ প্রত্যক্ষ করি। একবার যারা নজরুলের পৃথিবীতে প্রবেশ করেছেন তারা প্রত্যেকে নজরুল আদর্শের সৈনিক হয়ে হেঁটেছেন এবং নজরুলের মতো আজীবন অন্যায় ও অসাম্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। শাহাবুদ্দীন আহমদ তাদেরই একজন। নজরুল সমালোচনা সাহিত্যে শাহাবুদ্দীন আহমদ বার বার আলোচিত হোক, এই প্রত্যাশা রাখি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...