শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

পরিসংখ্যান | নবম-দশম শ্রেনী

উপাত্তের উপস্থাপনঃ

আমরা জানি গুণবাচক নয় এমন সংখ্যাসূচক তথ্যাবলি পরিসংখ্যানের উপাত্ত । আর উপাত্তসমূহকে সারণিভুক্ত করা হলো উপাত্তের উপস্থাপন ।

ক্রমযোজিত গণসংখ্যা (Cumulative : , , Frequency ):

 এটি হচ্ছে গণসংখ্যার উপাত্ত গুলোর পর্যায়ক্রমিক যোগফল । যেমন গণসংখ্যা যদি 1,2,3,4,5 হয় ত্তাহলে এর ক্রমযোজিত গণসংখ্যা হবে 1, 1+2=3, 3+3=6, 4+6=10, 5+10 = 15 অর্থাৎ 1,3,6,10,15 . 

বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলকঃ

পরিসংখানে ব্যবহৃত চলক দুই প্রকারের হয় । যেমন বিচ্ছিন্ন চলক ও অবিচ্ছিন্ন চলক ।
বিচ্ছিন্ন চলকঃ যে চলকের মান শুধুমাত্র পূর্ণসংখ্যা হয় তা বিচ্ছিন্ন চলক । জনসংখ্যা নির্দেশক উপাত্তে পূর্ণসংখ্যা ব্যবহৃত হয় । তাই গণসংখ্যামুলক উপ্পাত্তের চলক হচ্ছে বিচ্ছিন্ন চলক ।
অবিচ্ছিন্ন চলকঃ যে সকল চলকের মান যেকোনো বাস্তব সংখ্যা হতে পারে তাঁকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে ।

উপাত্তের লেখচিত্রঃ

গণসংখ্যার উপাত্তগুলোকে লেখচিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তাহলে তা বুঝা আরও সহজ ও চিত্রআকর্ষ হয় । 
গণসংখ্যা বহুভুজ (Frequency : , Polygon )

কেন্দ্রিয় প্রবণতাঃ

কেন্দ্রিয় মান একটি সংখ্যা এবং এই সংখ্যা উপাত্তসমূহের প্রতিনিধিত্ব করে । এই সংখ্যা দ্বারা কেন্দ্রিয় প্রবণতা পরিমাপ করা হয় । সাধারণত কেন্দ্রিয় প্রবনতার পরিমাপ হলোঃ
১) গাণিতিক গড় ।
২) মধ্যক ।
৩) প্রচুরক ।
গাণিতিক গড়ঃ
আমরা জানি, উপাত্তসমূহের মানের সমষ্টিকে যদি তাঁর সংখ্যা দ্বারা ভাগ করা হয় তবে উপাত্তসমূহের গড় মান পাওয়া যায় । তবে উপাত্তসমূহের সংখ্যা যদি খুব বেশ হয় তাহলে এ পদ্ধতিতে গড় মান নির্ণয় করা সময়সাপেক্ষ বেশ কঠিন ও ভুল হয়ার সম্ভাবনা থাকে । এ সকল ক্ষেত্রে উপাত্তসমূহ শ্রেনি বিন্যাসের মাধ্যমে সারনিবদ্ধ করে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে গড় নির্ণয় করা হয় ।
মধ্যকঃ
কোনো পরিসংখ্যানের উপাত্তগুলো মানের ক্রমানুসারে সাজালেজে সকল উপাত্ত সমান দুই ভাগে ভাগ করে সেই মানি হবে উপাত্তগুলোর মধ্যক ।
প্রচুরকঃ 
কোনো উপাত্তে যে সংখ্যা সরবাধিক বার উপস্থাপিত হয় সেই সংখ্যাই উপাত্তের প্রচুরক । 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...